প্রবীণ
-নীলোৎপল সিকদার
কত কাল ধরে প্রবাহিত এ জগত সিস্টেম!
আমরা মানুষেরা ভাবি
অনাদি অনন্ত সময়ে শোয়ারী হয়ে
এক সুশৃংখল ধারায় বয়ে যাচ্ছে,
আসলেই কি সুশৃংখল- সুগঠিত!
না আমাদের অক্ষমতা অসহায়ত্ব আড়াল করতে
আমরা সুশৃংখল ভাবি–সুন্দর বলি!
অথবা আমাদের সুন্দর ভাবনা
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি
জগতকে সুন্দর ভাবে দেখে
তাই জগত সুন্দর সুশৃংখল!
তবু তো থেকে যায় আরো কত বিমূর্ত প্রশ্ন
প্রকাশ করার সাহসের অভাবে গভীর–গোপনে
চিরদিন অন্ধকার অন্তরালে!
বলা হয় প্রাচীন এক ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন
সুনিপুন বিস্ময়কর এ সিস্টেম!
সেই থেকে চলছে এ সিস্টেমে জগত…
কোন ভুল কোন ক্রুটি বিচ্যুতি নেই সে ঈশ্বরের
তবে মানুষ সবাই শুভ বোধের নয় কেন?
কেন সব মানুষ–মানুষ হলেও
ভালো মনের মানুষ নয়?
বলা হয় জগতের অসাম্য অব্যবস্থা এর জন্য দায়ি,
অথচ সেই প্রাচীন ঈশ্বর সর্বশক্তিমান
তাহলে কেন তিনি এ বদলাতে পারেন না?
আদেও কি তিনি পারেন?
না আমরা বলি তিনি পারেন!
কি জানি হয়তো পারেন
বাস্তবতা হচ্ছে আজও পারেননি বা করেননি,
জগতের আরাধ্য সর্বশক্তিমান প্রবীণ ঈশ্বর…
আগামীতে দুঃখ দুর্দশা দূর করে
মানুষের জন্য বাসযোগ্য একটি নতুন পৃথিবী গড়বেন
আমি সে সোনালী দিনের শুভ প্রত্যাশায় প্রার্থণা করি..
যেখানে থাকবে না কোন অসাম্য অব্যবস্থা,
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ হানাহানি আর রক্তপাত,
সে পৃথিবীর সব মানুষ হবে শুভবোধে তাড়িত সুন্দর মনের…
সুন্দর লিখেছেন কবি